সকাল সাড়ে সাতটা নিখিলবাবু নিজের রোজকার রুটিনে বাড়ীর সামনের পার্কেই স্পীডে হেঁটে যাচ্ছিলেন আর তার ছায়াসঙ্গী দুজন দেহরক্ষী যথারীতি তার ঠিক পেছনেই ছিল , এমন সময়েই তার দিকে দৌড়ে একজন এল জগিং ট্র্যাক পরে, ছেলে না মেয়ে বোঝার আগেই তার দেহরক্ষী দুজনের চোখের সামনেই নিখিলবাবু পড়ে যান, তারা দৌড়ে সামনে যেতেই শোনে বিড়বিড় করে নিখিলবাবু বলছেন
'' প্রভু ক্ষমা, ক্ষমা প্রভু '' এই ছিল তার শেষ কথা ।
এই কথা একবার বলেই নিখিলবাবু নিজের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত্যুর কারন হিসাবে বলা হয় কোনও বিষাক্ত ইনজেকশনের কথা।
এটা প্রথম ঘটনা, ঘটে দিল্লির আভিজাত পাড়ায় রিটায়ার্ড আই এ এস অফিসার নিখিল মিত্রর সঙ্গে, সাল ২০১১।
সাল ২০১২ , মুম্বাই।
সকাল দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ অবিনাশ রায় নিজের বাড়ীর থেকে বেড়িয়ে লিফট দিয়ে নামছিলেন, সঙ্গে তার সেক্রেটারি আর বডিগার্ড ও ছিলো, সবকিছুই প্রতিদিনের মতই স্বাভাবিক ছিল, লিফট থেকে বের হতেই একটা বুড়ো মানুষ যেন অবিনাশ বাবুর অপেক্ষায় ছিলেন , সেই বুড়োটা এগিয়ে এসে কিছু কথা বলেন অবিনাশ বাবুকে আর মুহূর্তের মধ্যই অবিনাশ বাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, তার সেক্রেটারি আর বডিগার্ড দৌড়ে আসতে আসতেই প্রায় সব শেষ, শুধু অবিনাশ বাবুর শেষ কতই কথা শুনতে পায় দুজনেই , অবিনাশ বাবু যেন নিজের মনেই বিড়বিড় করে বলছিলেন
'' ক্ষমা কর প্রভু, ক্ষমা ''। সেই বুড়োটাকেও আর দুজনেই দেখতে পায়নি।
তার রিপোর্টে সেই একই কারন দেখা যায় মৃত্যুর বিষাক্ত ইনজেকশন!
চেন্নাইয়ের সকাল একটু দেরিতে হলেও রামানুজম স্বামীর সকাল সাড়ে চারটেতেই হয়ে যায়, সেদিনও তাই হয়েছিলো আর স্বামী নিজের প্রতিদিনের রুটিনেই নিজের ঘরের সামনের বিচেই পায়চারী করছিলো তারও দুজন বডিগার্ড তাকে সতর্ক নজরেই রেখেছিলো আচমকা তারা দেখে যে স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, আর সামনে দিয়েই একটা ছোকরা দ্রুত হেঁটে পেরিয়ে যায়।
স্বামীর বডি গার্ডরা তাড়াতাড়ি স্বামীর কাছে এসে পৌঁছে শোনে স্বামী নিজের মনেই যেন বিড়বিড় করে বলে যাচ্ছে '' মাফ কর প্রভু, মাফি প্রভু'' । এটা ঘটেছিলো ২০১৩ সালে।
সব মিলিয়ে সাত সাতটা খুন এই তিন বছরে ঘটেছে ভারবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে তবে প্রত্যক মৃত্যুর সঙ্গেই অন্য মৃত্যুর যোগ আছে প্রবল যোগ আছে তা মৃত্যুর ধরন আর মৃত ব্যাক্তিদের সামাজিক অবস্থান একটু খুঁটিয়ে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়,
''সাতজনের মধ্য যে তিন জন সবচেয়ে ক্ষমতাবান ছিলেন, এটা দরকারি মনে করে শুধু তাদের কথাই এই ফাইলে উল্লেখিত হয়েছে সার ''
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারের জিজ্ঞাসু দৃষ্টির সামনে সুধীর কুমার ঘাবড়ে এই কথাটি বলেন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারের বয়স বেশী নয় খুব বেশী হলে ৩৫-৩৬ হবে , তবে তার চেহারায় আর ব্যাক্তিত্বে এমন একটা গাম্ভীর্য আছে যে বয়েসে আর অভিজ্ঞতায় তার চেয়ে অনেক বড় হয়েও সেই স্থির দৃষ্টির সামনে সুধীর বাবু একটু হলেও ঘাবড়ে যান।
'' প্রভু ক্ষমা, ক্ষমা প্রভু '' এই ছিল তার শেষ কথা ।
এই কথা একবার বলেই নিখিলবাবু নিজের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত্যুর কারন হিসাবে বলা হয় কোনও বিষাক্ত ইনজেকশনের কথা।
এটা প্রথম ঘটনা, ঘটে দিল্লির আভিজাত পাড়ায় রিটায়ার্ড আই এ এস অফিসার নিখিল মিত্রর সঙ্গে, সাল ২০১১।
সাল ২০১২ , মুম্বাই।
সকাল দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ অবিনাশ রায় নিজের বাড়ীর থেকে বেড়িয়ে লিফট দিয়ে নামছিলেন, সঙ্গে তার সেক্রেটারি আর বডিগার্ড ও ছিলো, সবকিছুই প্রতিদিনের মতই স্বাভাবিক ছিল, লিফট থেকে বের হতেই একটা বুড়ো মানুষ যেন অবিনাশ বাবুর অপেক্ষায় ছিলেন , সেই বুড়োটা এগিয়ে এসে কিছু কথা বলেন অবিনাশ বাবুকে আর মুহূর্তের মধ্যই অবিনাশ বাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, তার সেক্রেটারি আর বডিগার্ড দৌড়ে আসতে আসতেই প্রায় সব শেষ, শুধু অবিনাশ বাবুর শেষ কতই কথা শুনতে পায় দুজনেই , অবিনাশ বাবু যেন নিজের মনেই বিড়বিড় করে বলছিলেন
'' ক্ষমা কর প্রভু, ক্ষমা ''। সেই বুড়োটাকেও আর দুজনেই দেখতে পায়নি।
তার রিপোর্টে সেই একই কারন দেখা যায় মৃত্যুর বিষাক্ত ইনজেকশন!
চেন্নাইয়ের সকাল একটু দেরিতে হলেও রামানুজম স্বামীর সকাল সাড়ে চারটেতেই হয়ে যায়, সেদিনও তাই হয়েছিলো আর স্বামী নিজের প্রতিদিনের রুটিনেই নিজের ঘরের সামনের বিচেই পায়চারী করছিলো তারও দুজন বডিগার্ড তাকে সতর্ক নজরেই রেখেছিলো আচমকা তারা দেখে যে স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, আর সামনে দিয়েই একটা ছোকরা দ্রুত হেঁটে পেরিয়ে যায়।
স্বামীর বডি গার্ডরা তাড়াতাড়ি স্বামীর কাছে এসে পৌঁছে শোনে স্বামী নিজের মনেই যেন বিড়বিড় করে বলে যাচ্ছে '' মাফ কর প্রভু, মাফি প্রভু'' । এটা ঘটেছিলো ২০১৩ সালে।
সব মিলিয়ে সাত সাতটা খুন এই তিন বছরে ঘটেছে ভারবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে তবে প্রত্যক মৃত্যুর সঙ্গেই অন্য মৃত্যুর যোগ আছে প্রবল যোগ আছে তা মৃত্যুর ধরন আর মৃত ব্যাক্তিদের সামাজিক অবস্থান একটু খুঁটিয়ে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়,
''সাতজনের মধ্য যে তিন জন সবচেয়ে ক্ষমতাবান ছিলেন, এটা দরকারি মনে করে শুধু তাদের কথাই এই ফাইলে উল্লেখিত হয়েছে সার ''
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারের জিজ্ঞাসু দৃষ্টির সামনে সুধীর কুমার ঘাবড়ে এই কথাটি বলেন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারের বয়স বেশী নয় খুব বেশী হলে ৩৫-৩৬ হবে , তবে তার চেহারায় আর ব্যাক্তিত্বে এমন একটা গাম্ভীর্য আছে যে বয়েসে আর অভিজ্ঞতায় তার চেয়ে অনেক বড় হয়েও সেই স্থির দৃষ্টির সামনে সুধীর বাবু একটু হলেও ঘাবড়ে যান।