ওগো শুন, তোমার ছাত্ররা বসে আছে।
আচ্ছা, আমি যাচ্ছি...
বলে গেলাম। ছাত্র তিনজন। এক, আমার নিজের ছেলে মোহন, আর ওর দুই বন্ধু যাকের আর রাশু। আমি সাধারণত বাসায় ছাত্র পড়াই না, কিন্তু এই তিনজন ক্লাসের সব চেয়ে বড় বদের হাড্ডি। মাত্র ১৮রয় পা দিয়ে এক একটা সেই আকারের শয়তানে পরিণত হয়েছে। তাই, প্রিঞ্চিপাল স্যার আমায় ডেকে বলেছেন
অমরেশ বাবু। দেখুন, আমাদের কলেজের একটা মান সম্মান আছে। কিন্তু, আপনার ছেলে আর তার দু বন্ধু মিলে যা করেছে, তাতে আমাদের মুখ দেখাবার কায়দা নেই। পর পর দু বছর ধরে পাশ করবার কোনই নাম নেই, শুধু ক্যাম্পাসে মারামারি আর মাস্তানি। এবারই ওদের লাস্ট চান্স... যদি পাশ করতে পারে, করবে... নাহলে, আপনিও ওদের সাথে বহিষ্কার হবেন...
স্যার, আমি কেন...
আপনার কারণে মোহনকে আর তার বন্ধুদের অনেক ছাড় দাওয়া হয়েছে। তাই, এবার কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হয় আপনার ছেলে আর তার দু বন্ধু পাশ করে বের হবে, নাহয় আপনাদের বাপ ব্যাটা দুজনকেই বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে...
লোকটা এমনি আমাকে দেখতে পারে না। আমার পোস্ট টা তার শ্যালক কে দেবার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে, কিন্তু কোন উপায় পাচ্ছে না আমায় বের করবার। এখন যখন এটা পেয়েছে, তখন আমি আর কি করব? ডানপিটে তিনটাকে বাসায় প্রাইভেট পড়াবার সিধান্ত নিলাম।
কিন্তু ওই তিনটাকে পড়ানো কি যেই সেই ব্যাপার? ছেলেগুলো বেশ ব্রিলিএনট, কিন্তু পড়ার একটুও ইচ্ছে নেই... একটা পড়া দেই, কিন্তু সেটা শেষ করবার কোন নাম নেই। উল্টো শয়তানি আর দুষ্টুমি... তাই যদি হাতের কাছে পেতাম, তাও না... পড়াবার জন্য আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকি, কিন্তু তাদের দেখা পাবার কোনই নাম নেই... ওই দিকে, পরীক্ষার আর মাস বাকি... আমি মাথার চুল ছিঁড়তে থাকি...
রাতের বেলা আমার বউ আমাকে বলে
ওগো কি হয়েছে বলবে?
দেখ... ওই তিনটাকে না পাশ করাতে পারলে আমার পথে বসতে হবে...
কেন? আমি এবার বিস্তারিত বুঝিয়ে বললাম... সুস্মিতা শুনল। বলল
আচ্ছা, ঠিক আছে... আমি এর একটা ব্যবস্থা করছি..."
চলবে...
আচ্ছা, আমি যাচ্ছি...
বলে গেলাম। ছাত্র তিনজন। এক, আমার নিজের ছেলে মোহন, আর ওর দুই বন্ধু যাকের আর রাশু। আমি সাধারণত বাসায় ছাত্র পড়াই না, কিন্তু এই তিনজন ক্লাসের সব চেয়ে বড় বদের হাড্ডি। মাত্র ১৮রয় পা দিয়ে এক একটা সেই আকারের শয়তানে পরিণত হয়েছে। তাই, প্রিঞ্চিপাল স্যার আমায় ডেকে বলেছেন
অমরেশ বাবু। দেখুন, আমাদের কলেজের একটা মান সম্মান আছে। কিন্তু, আপনার ছেলে আর তার দু বন্ধু মিলে যা করেছে, তাতে আমাদের মুখ দেখাবার কায়দা নেই। পর পর দু বছর ধরে পাশ করবার কোনই নাম নেই, শুধু ক্যাম্পাসে মারামারি আর মাস্তানি। এবারই ওদের লাস্ট চান্স... যদি পাশ করতে পারে, করবে... নাহলে, আপনিও ওদের সাথে বহিষ্কার হবেন...
স্যার, আমি কেন...
আপনার কারণে মোহনকে আর তার বন্ধুদের অনেক ছাড় দাওয়া হয়েছে। তাই, এবার কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হয় আপনার ছেলে আর তার দু বন্ধু পাশ করে বের হবে, নাহয় আপনাদের বাপ ব্যাটা দুজনকেই বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে...
লোকটা এমনি আমাকে দেখতে পারে না। আমার পোস্ট টা তার শ্যালক কে দেবার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে, কিন্তু কোন উপায় পাচ্ছে না আমায় বের করবার। এখন যখন এটা পেয়েছে, তখন আমি আর কি করব? ডানপিটে তিনটাকে বাসায় প্রাইভেট পড়াবার সিধান্ত নিলাম।
কিন্তু ওই তিনটাকে পড়ানো কি যেই সেই ব্যাপার? ছেলেগুলো বেশ ব্রিলিএনট, কিন্তু পড়ার একটুও ইচ্ছে নেই... একটা পড়া দেই, কিন্তু সেটা শেষ করবার কোন নাম নেই। উল্টো শয়তানি আর দুষ্টুমি... তাই যদি হাতের কাছে পেতাম, তাও না... পড়াবার জন্য আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকি, কিন্তু তাদের দেখা পাবার কোনই নাম নেই... ওই দিকে, পরীক্ষার আর মাস বাকি... আমি মাথার চুল ছিঁড়তে থাকি...
রাতের বেলা আমার বউ আমাকে বলে
ওগো কি হয়েছে বলবে?
দেখ... ওই তিনটাকে না পাশ করাতে পারলে আমার পথে বসতে হবে...
কেন? আমি এবার বিস্তারিত বুঝিয়ে বললাম... সুস্মিতা শুনল। বলল
আচ্ছা, ঠিক আছে... আমি এর একটা ব্যবস্থা করছি..."
চলবে...